আ ন ম সেলিম, (পটিয়া) চট্টগ্রাম আগামী ২৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২২ তম ত্রি বার্ষিক জাতীয় সম্মেলন। চট্টগ্রাম থেকে আওয়ামী লীগের ডেলিগেট ও কাউন্সিলর ছাড়াও জেলা, উপজেলা ও পৌরসভা আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী ঢাকায় আওয়ামী লীগের সম্মেলনে যোগ দিবেন। তাছাড়া যুবলীগ, ছাত্রলীগ,স্বেচ্ছাসেবক লীগ সহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতাকর্মী সম্মেলনে যোগ দিবেন বলে জানা যায়। সম্মেলন কে কেন্দ্র করে সারাদেশের মত চট্টগ্রামের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।২০২৩ সালের ডিসেম্বর কিংবা ২৪ সালের জানুয়ারি মাসে হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ বেশ আগে থেকেই দল গোছাতে শুরু করেছে।রাজনৈতিক অনুষ্ঠান, জনসভা এবং উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে সম্মেলনসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দলের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। গত ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশাল জনসভার পর তৃণমূলের মাঝে গতি ফিরেছে। জনসভায় কয়েক লাখ নেতাকর্মী ও জনসাধারণের সমাগম হয়েছিল চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড ময়দানে। ২৪ ডিসেম্বরের জাতীয় সম্মেলনে যোগ দিতে চট্টগ্রাম থেকে যাচ্ছে প্রায় এগারোশ কাউন্সিলর ও ডেলিগেট। এছাড়া চট্টগ্রাম উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগর আওয়ামী লীগের আরও প্রায় পাঁচ হাজার নেতাকর্মী সম্মেলনে যোগ দিবেন। এ নিয়ে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিবেচনায় ঢাকার পরেই চট্টগ্রামের অবস্থান। বন্দরসহ বানিজ্যিক রাজধানী খ্যাত গুরুত্বপূর্ণ স্হাপনার কারণে জাতীয় রাজনীতিতে রয়েছে চট্টগ্রামের দাপুটে অবস্থান। বিশাল বহর নিয়ে জেলার তিনটি ইউনিট যাবে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। দলীয় সূত্রে জানা যায়,বাস ও ট্রেন যোগে কাউন্সিলর, ডেলিগেট ও দলীয় নেতা-কর্মীরা ঢাকার সম্মেলনে যাবেন। এই নিয়ে স্হানীয় দলীয় এমপি,জেলা, উপজেলা,পৌরসভার সভাপতি – সম্পাদকরা পরস্পরের মধ্যে আলাপ আলোচনা ও বৈঠক করে চলেছেন।শীর্ষ নেতারা তাদের অনুসারী নেতাকর্মীদের ভোগান্তি ছাড়াই ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। থাকা ও খাওয়ার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্হা নেয়া হচ্ছে। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান জানান, সম্মেলনে কাউন্সিলর,ডেলিগেট ও নেতাকর্মীরা যাওয়ার জন্য কার,মাইক্রোবাস,ট্রেন ও বাসের বিশেষ ব্যবস্হা নেয়া হয়েছে।