ডেস্ক রিপোর্ট : বোয়ালখালী-চান্দগাঁও (চট্টগ্রাম–৮) আসনের উপ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন নোমান আল মাহমুদ।

শনিবার (২৫ মার্চ) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সিজেকেএস কাউন্সিলর,সাবেক ছাত্রনেতা, মহানগর যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও চটগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদের হাতে তুলে দিলেন নৌকার টিকেট। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক ভিডিও বার্তায় এ তথ্য জানান।

চট্টগ্রাম -৮ আসনে নৌকার মাঝি হওয়ার আশায় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছিলেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, প্রয়াত সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদের সহধর্মিণী শিরিন আহমেদ, প্রয়াত সংসদ সদস্য মঈনুদ্দিন খান বাদলের সহধর্মিণী সেলিনা খান, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য বিজয় কুমার চৌধুরী, আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপ কমিটির সাবেক সদস্য মো. হায়দার আলী চৌধুরী, শিল্পপতি সুকুমার চৌধুরী, এটিএম আলী রিয়াজ খান, এসএম কফিল উদ্দিন, মোহাম্মদ খোরশেদ আলম, মোহাম্মদ জাহেদুল হক, মো. সাইফুল ইসলাম, আশেক রসুল খান, জহুর চৌধুরী, মোহাম্মদ মনছুর আলম, মো. আবু তাহের, কফিল উদ্দীন খান, মো. মোস্তাফিজুর রহমান. মো. এমরান, সাইফুদ্দিন আহমেদ রবি, দক্ষিন জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এসএম আবুল কালাম,তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আবদুল কাদের সুজন, চট্টগ্রাম মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক এএ নুরুল ইসলাম ও আহমেদ ফয়সাল চৌধুরী।

আগামী ২৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রাম–৮ আসনের উপ নির্বাচন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৭ মার্চ। এর আগে গত ১৮ মার্চ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত জাতীয় সংসদের ২৮৫ চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহী প্রার্থীদের গত ২০ মার্চ থেকে ২২ মার্চের মধ্যে মনোনয়নের আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা প্রদানের তারিখ নির্ধারিত ছিল ।

প্রসঙ্গত, গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দিন আহমদ। তাঁর মৃত্যুতে আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।

নোমান আল মাহমুদ
বঙ্গবন্ধুর ইস্পাত কঠিন আদর্শিক পুঁজি ছাড়া তাঁর আর কোনো অবলম্বন নেই। তিনি আজীবন রাজনীতি করেছেন,কখনো অর্থের পেছনে ছোটেননি। টেক্সিও নয়, এখনো রিকশাই তাঁর মূল বাহন। বুর্জোয়া নয়, শিল্পপতি নয়, অরাজনৈতিক কেউ নয়, বঙ্গবন্ধুর নিরাপোষী একজন কর্মীর হাতে বঙ্গবন্ধুর প্রতীক, স্বাধীনতার প্রতীক নৌকা তুলে দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রমাণ করেছেন তৃণমূল থেকে উঠে আসা একজন কর্মীই তাঁর কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
আওয়ামী লীগের এই সিদ্ধান্ত তৃণমূলের ঘাম ঝরানো কর্মীদের আশা আকাঙ্ক্ষার নতুন মাইলফলক।

নোমান আল মাহমুদ ১৯৭১-৭৩ সালে সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন। ১৯৭৪-৭৭ সালে মহানগর ছাত্রলীগের কমিটিতে শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৯ সালে যুবলীগের মহানগর কমিটির সদস্য হন। ১৯৮৭ সালে মহানগর যুবলীগ সভাপতি ও ১৯৯৪ সালে শেখ সেলিম-কাজী ইকবাল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং ১৯৯৭ সালে জাহাঙ্গীর কবির নানক-মির্জা আজম কমিটির সদস্য হন।