ডেস্ক রিপোর্ট : চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া মনসা বাদামতল মোড় এলাকায় তেলবাহী একটি লড়ির সাথে মুখোমুখি সংর্ঘষে এক মোটর সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এঘটনায় আরেক মোটর সাইকেল আরোহী গুরুতর আহত হয়েছেন।
রবিবার দুপুর দুইটার দিকে চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া মনসা বাদামতল এলাকায় এ দূর্ঘটনাটি ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শী মাহবুল আলম বলেন, রবিবার দুপুর দুইটার দিকে মনসা বাদামতল এলাকায় কক্সবাজার মূখী তেলবাহী লড়ির সাথে চট্টগ্রাম মুখী মোটর সাইকেলের সংঘর্ষে তেলবাহী গাড়ির চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান রতন দাশ (২৯)।
হাসান নামের অপর আরোহীকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত রতন দাশ মিরসরাই উপজেলার পূর্ব মায়ানি এলাকার মনোরঞ্জন দাশের ছেলে। আহত অপর আরোহীর নাম হাসান বলে জানা গেলেও পুরো ঠিকানা জানা যায় নি। নিহত রতন দাশের খালু জগদীশ চন্দ্র দাশ বলেন, রতনকে আমি ছোট বেলা থেকেই আমার কাছে রেখে বড় করেছি। সে আগে একটা পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। সম্প্রতি সে একটা মোবাইল কোম্পানিতে চাকরি পেয়েছে। সে চট্টগ্রাম থেকে মোটর সাইকেল চালিয়ে পটিয়া যাওয়ার পথেই এ দূর্ঘটনার শিকার হয়ে মারা যায়। তবে তিনি এ প্রতিবেদকের কাছে ধর্মান্তরিত হওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে যান। নিহত রতন দাশ ২০২০ সালের ১৭ নভেম্বর চট্টগ্রামের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্টেটের কাছে নোটারী পাবলিক কার্যালয় হতে হলফনামা মূলে মুসলিম ধর্ম গ্রহন করেন। তার বর্তমান নাম আহমাদ (২৯)। এ সংক্রান্ত হলফনামাটি আমাদের হাতে এসেছে। পটিয়া হাইওয়ে পুলিশের ওসি স্নেহাংশু বিকাশ সরকার বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত রতন দাশের মাথাটি সম্পুর্ন বিকৃত হয়ে গেছে লড়ির চাপায়। সন্ধ্যায় তার পরিবারের লোকজন এসে তাকে সনাক্ত করেছেন । এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় সে দুই বছর আগে মুসলিম ধর্ম গ্রহন করেছেন। এটা শুনার পর আমরা তার হিন্দু মা ও খালুর কাছে লাশটি হস্তান্তর করিনি। আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক লাশ হস্তান্তর করা হবে। লাশের ময়না তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেলের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এবিষয়ে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে । দূর্ঘটনা কবলিত মোটর সাইকেল ও তেলবাহী গাড়িটি উদ্ধার করে হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে আটক রাখা হয়েছে।
এদিকে, স্হানীয়দের অভিযোগ চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের দুই পাশে প্রশস্তকরণের কাজ চলছে। ট্রাফিক ব্যবস্থা ছাড়াই কাজ করার কারণে দুর্ঘটনার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে । স্থানীয়দের ধারণা কর্তৃপক্ষের অবহেলা কারণে এখন মহাসড়কের মনসা বাদামতল থেকে ইন্দ্রপুল পর্যন্ত মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে । রাস্তার দুই পাশে সড়কের প্রশস্ত করণের কাজ করা হলেও পাকিস্তান আমলে নির্মিত একটি কালভার্ট থাকায় ওখানে রাস্তার কাজ অসমাপ্ত রেখে দেয়। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় কোন ধরনের লাল পতাকা বা সতর্কীকরন চিহ্ন বা কোন ব্যবস্থা না থাকায় আজ তরতাজা এক মোটর সাইকেল আরোহীকে প্রাণ দিতে হলো।