পুরোনোতেই আস্হা চট্টগ্রাম থেকে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগে
প্রতিনিধির নাম
-
প্রকাশ সময় :
Monday, December 26, 2022
-
199 Time View
- আ ন ম সেলিম, (পটিয়া) চট্টগ্রাম: গত ২৪ ডিসেম্বর দেশের সবচেয়ে প্রাচীন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২২ তম জাতীয় সম্মেলন ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিবারের সম্মেলন দুই দিনব্যাপী হলেও এবার করা হয়েছে সাদামাটাভাবে একদিনে। বিকেলে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ২য় অধিবেশনে টানা দশম বারের মত সভাপতি হলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টানা তিন-তিনবার সাধারণ সম্পাদক হন ওবায়দুল কাদের। কেন্দ্রীয় কমিটিতে চট্টগ্রাম থেকে পুরোনো ৫ জনেই আস্হা রেখেছেন সভাপতি শেখ হাসিনা। চট্টগ্রাম থেকে যারা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা করে নিয়েছেন তারা হলেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি,বিগত কমিটির সর্বশেষ যুগ্ম সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ এমপি এবার পদোন্নতি পেয়ে ১ম যুগ্ন সম্পাদক হয়েছেন।একই পদে অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক হলেন ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি,দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। বিগত কমিটির উপ প্রচার সম্পাদক থেকে পদোন্নতি পেয়ে ত্রাণ ও সমাজ কল্যান সম্পাদক হলেন আমিনুল ইসলাম আমিন। সাধারন সম্পাদক পদে বীর চট্টলার কৃতি সন্তান ড. হাসান মাহমুদ ছিলেন বেশ আলোচনায়। জাতীয় নির্বাচন কে সামনে রেখে দলে যাতে কোন ধরনের ক্ষোভের সৃষ্টি না হয় সেজন্য কমিটিতে বিশেষ করে সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তন আনা হয়নি। না হয় চট্টগ্রামের ইতিহাস লিখতে হতো আরেক রকম। সরকারের পক্ষে মিডিয়ায় অত্যন্ত বাকপটু ড. হাসান মাহমুদ সাধারণ সম্পাদক পদে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন।

- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক পদে ড. হাসান মাহমুদের নাম ঘোষণা করেন। তাঁর এই পদোন্নতিতে চট্টগ্রামের নেতাকর্মীদের মাঝে আনন্দের বন্যা বইছে। দলের দুঃসময়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী ড. হাসান মাহমুদ ২০০২ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ১৭ তম কাউন্সিলে বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হন।তিনি ২০০৯ সালের কাউন্সিলে একই পদে বহাল থাকেন। ২০১২ সালের কাউন্সিলে প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হন ২০১৬ সালের কাউন্সিলে আবারও প্রচার সম্পাদক হিসেবে রাখা হয় তাকে । ২০১৯ সালের কাউন্সিলে পদোন্নতি পেয়ে হন কনিষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক। ওয়ান ইলেভেনের সেনা সমর্থিত সরকারের কঠিন সময়ে সভানেত্রী যখন কারান্তরীণ, সিনিয়র নেতারা যখন আত্মগোপনে তখন জীবনের মায়া ত্যাগ করে সরকারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে প্রকাশ্যে শেখ হাসিনার পক্ষে আপোষহীন ভূমিকা পালন করেন হাসান মাহমুদ । চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন,ড. হাসান মাহমুদের পদোন্নতি চট্টগ্রামের রাজনীতির জন্য একটি মাইল ফলক। তিনি সভানেত্রীর আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁর এই অর্জন আমাদের জন্য আনন্দ ও গর্বের বিষয়। তিনি আরও বলেন,নেত্রী যোগ্য ব্যক্তিকে সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় বসিয়েছেন। ড. হাসান মাহমুদ দুঃসময়ে দলের ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করেছেন। তার এই অর্জনে চট্টগ্রামের তৃণমূলে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। তিনি জাতীয়ভাবে চট্টগ্রামের প্রতিনিধিত্ব করছেন। দলের পাশাপাশি সরকারের মন্ত্রী হিসেবেও তিনি চট্টগ্রামের উন্নয়নে অনেক অবদান রেখে চলেছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা উপ কমিটির সাবেক সদস্য তসলিম উদ্দীন রানা বলেন,ড. হাসান মাহমুদের এই অর্জনে চট্টগ্রাম ছাড়াও সারাদেশের নেতা কর্মীরা মহাখুশি।চট্টগ্রামবাসী হিসেবে আমিও অত্যন্ত খুশি। সুস্থ ধারার রাজনীতিতে ড. হাসান মাহমুদের এই সফলতা তৃণমূলসহ নেতাকর্মীদের মাঝে অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।
নিউজটি শেয়ার করে অন্যকে পড়তে সহযোগীতা করুন
আরো সংবাদ