ডেস্ক রিপোর্ট: চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর সাথে পটিয়া উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্টানের জন প্রতিনিধিদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (১৪ জানুয়ারী) বিকেলে পটিয়া উপজেলা হল রুমে আয়োজিত উপজেলা প্রশাসনের ব্যানারে ইউএনও আলাউদ্দীন ভুঞা জনী’র সভাপতিত্বে ও সহকারী কমিশনার ভূমি ফাহমিদা আফরোজের সঞ্চালনা অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আমি উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে কোন সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অন্যায় আচরন করিনি এবং এখন সংসদ সদস্য হওয়ার পরও করবো না।সমন্বয়কারীর নামে কোন জন প্রতিনিধিকে হেনস্থা করা হবে না। গত ১৫ বছর প্রতিটি এলাকায় উন্নয়ন সমন্বয়কারীর দিয়ে জনপ্রতিনিধিদের মাঝে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে। যার ফলে স্হানীয় সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডে অনিয়ম দূর্নীতি হয়েছে। আমি স্হানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে পটিয়ার প্রতিটি এলাকায় উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করব।
তিনি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারাও এ দেশের সন্তান, দেশের কল্যানে কাজ করা আপনাদের নৈতিক দায়িত্ব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত স্মার্ট বাংলাদেশ ও এসডিজি বাস্তবায়নে আপনাদেরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। এভাবেই এই দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে সরকারের বিভিন্ন সেবা সমূহ জনগনের দৌড় গোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারি কর্মকর্তাদের আরো এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি। সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়নে জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে সেতু বন্ধন তৈরি করতে হবে।
জনপ্রতিনিধিদের উদেশ্যে তিনি বলেন, রাজস্ব ও এলজিএসপি প্রকল্প নেয়ার ক্ষেত্রে জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিকে বিবেচনায় রাখতে হবে। ছোট হোক বড় হোক জনপ্রতিনিধিরা সমাজের সন্মানিত ব্যাক্তি। তাদের সন্মানে আঘাত লাগে এরকম কোন কাজ আমি করবো না এবং করতে দেয়া হবে না। অতি শীঘ্রই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর ও সুইজারল্যান্ডের আদলে উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত হবে। সেই স্বপ্নের সারথি হতে জনপ্রতিনিধিদেরকেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমি কোন অনিয়মের সাথে আপোষ করবো না। প্রয়োজনে আমার লাশ পড়ে যাবে কোন অবস্থাতেই পটিয়ায় উন্নয়ন কর্মকান্ডে অনিয়ম দূর্নীতি বরদাশত করা হবে না। পটিয়ার হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে সবাইকে নিয়ে একসাথে কাজ করবো। পটিয়াতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাজার কোটি টাকার গৃহীত প্রকল্প জনগণের কোনো কল্যানে আসেনি। এ ধরনের জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট বড় বড় প্রকল্প গুলো যেন নয়ছয় না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখা হবে বলে জানান তিনি।
মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ডা. তিমির বরন চৌধুরী, মেয়র আইয়ুব বাবুল, কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মো. ফারুক, সদস্য মোজাহেরুল আলম চৌধুরী, নাছির উদ্দীন, গোলাম সরোয়ার চৌধুরী মুরাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম সামশুজ্জামান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুনুর রশিদ, চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, মো: সেলিম, এহসানুল হক, মাহবুবুর রহমান, শাহিনুল ইসলাম শানু, এম এ হাশেম, মো. বখতিয়ার, রনবীর ঘোষ টুটুন, সরোজ কান্তি সেন নান্টু, মাহবুবুল হক চৌধুরী, ফৌজুল কবির কুমার, আমিনুল ইসলাম খান টিপু, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কল্পনা রহমান, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সব্যসাচি নাথ, প্রকৌশলী কমল কান্তি পাল, ওসি জসীম উদ্দিন,প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ ইলিয়াস,শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল মজিদ, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রমা কান্ত মজুমদার,সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা স্বপন চন্দ্র দে,সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো.আলাউদ্দিন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রবিউল হোসেন, সমাজ সেবা কর্মকর্তা পিপলু চন্দ্র নাথ,জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা উত্তম দে, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সমন্বয়কারী শেখ মো: মহিউদ্দিন,সহকারী তথ্য কর্মকর্তা মর্জিনা আকতার,পরিসংখ্যান কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।