ডেস্ক রিপোর্ট : চট্টগ্রামের পটিয়ায় তুচ্ছ ঘটনার জেরে কিশোর গ্যাং এর চুরিকাঘাতে আহত আবদুল মান্নান (৫২) টানা পাঁচ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে মারা গেলেন। নিহত আবদুল মান্নান পটিয়া পৌর এলাকার ৫ নং ওয়ার্ডের হাবিবুর পাড়ার মৃত চান্দু মিয়ার ছেলে। তার ২ মেয়ে ও ১ ছেলে আছে।
শুক্রবার দুপুরে মৃত্যুর খবরটি দেশ রূপান্তরকে নিশ্চিত করেছেন নিহতের বন্ধু ফজল আহমদ। তিনি আরো বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার পেটে অপারেশন করা হয়েছে। অপারেশন পরবর্তী তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটার সময় তিনি মৃত্যু বরন করেন। একই ঘটনায় আহত হয়েছেন কচুয়াই ইউনিয়নের শেখ মোহাম্মদ পাড়ার বদিউল আলম (৪২) নামের আরো একজন।
এ ঘটনায় ১ লা ফেব্রুয়ারী পটিয়া থানায় ২ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৭-৮ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে আহত বদিউল আলমের ভাই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনার মামলায় কিশোর গ্যাং লিডার সোহেলের পিতা ওমর আলী (৪৬) কে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এদিকে নিহত আবদুল মান্নানের লাশ চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে রাতে তার বাড়িতে নামাজে জানাজা শেষে দাফন করা হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
মামলার বিবরন সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ জানুয়ারি দুপুর একটার সময় পৌর সদরের ডাকবাংলো মোড় এলাকায় সিএনজি পার্কিংয়ের ইজারাদার আবদুল মান্নান ও বদিউল আলমের সাথে সিএনজি চালক ওমর আলীর কাছ থেকে সিএনজি পার্কিংয়ের নির্ধারিত দশ টাকা পার্কিং ফি আদায় করা নিয়ে উভয়ের মাঝে বাকবিতন্ডা হয়। এ খবর পেয়ে ওমর আলীর ছেলে কিশোর গ্যাং লিডার সোহেল তার দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে আবদুল মান্নান ও বদিউল আলমেন উপর এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করতে থাকেন। এসময় তারা দুইজন ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন। স্হানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। শুক্রবার আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবদুল মান্নান মারা যান।
এ ব্যাপারে পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার দেশ রূপান্তরকে জানান , ছুরিকাঘাতের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে এবং প্রধান আসামিকে আটক করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ চেষ্টা করছেন।